How to go South Korea? Details of EPS & E-9 visa, student visa, tourist visa processing | কিভাবে কোরিয়ায় যাবেন, বিস্তারিত জানুন | - Multi language center

যোগোযোগঃ 01948652556 (Only WhatsApp) মোঃ রেজোওয়ান হোসেন

কোর্স শুরুর তারিখঃ- ০২/০৫/২০২৪ ইনশাআল্লাহ। অনলাইনে= রাত ৯:০০ টায়, (রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার)। অফলাইনে সকাল ১১:০০ টায়, (রবি মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার)। ৪ মাসের কোর্স, অফলাইনে ফি ১০০০০ টাকা। অনলাইনে ফি ৮০০০ টাকা।

2022/03/08

How to go South Korea? Details of EPS & E-9 visa, student visa, tourist visa processing | কিভাবে কোরিয়ায় যাবেন, বিস্তারিত জানুন |




দক্ষিণ কোরিয়ার EPS সম্পর্কিত তথ্য


আমরা যারা বাংলাদেশ থেকে কোরিয়াতে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করি, তাদের মনে বিভিন্ন প্রশ্ন থাকে। বিশেষ করে, যারা শ্রমিক ভিসায় বা ( E-9 )  ভিসায় প্রথম কোরিয়াতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আমি আপনাদের মনে জন্মানো কিছু সম্ভব্য প্রশ্নের উত্তর আগে থেকেই এখানে দিয়ে রাখার চেস্টা করবো ইনশাআল্লাহ্। আমার এই পোস্ট গুলো ভালো ভাবে পড়লে, আপনি কোরিয়ার এই বিষয় গুলো সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা অর্জন করতে সক্ষম হবেন।


What is EPS, ইপিএস কি ?

EPS ( Employment permit system ) কোরিয়ার বেশিরভাগ কোম্পানীতেই বৈদেশিক শ্রমিকের প্রয়োজন পরে। আর  বৈদেশী শ্রমিক নিয়োগ দিতে আগ্রহী কোম্পানীর শ্রমিক চাহিদা পূরণের লক্ষে বৈদেশিক শ্রমিক আমদানি ও ব্যবস্থাপনা করার সংস্থাটির নামই " ইপিএস "। তবে  ইপিএস, দেশি শ্রমিকদের চাকুরী নিশ্চিত করার পরেই শুধু বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ দেয়। অনুর্ধ ৩০০ জন নিয়মিত শ্রমিক কাজ করে, এমন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ম্যানুফেকচারিং শিল্প, কৃষি ও পশুপালন শিল্প, মৎস শিল্প,  নির্মাণ শিল্প প্রভৃতি শিল্পে শ্রমিক ঘাটতি থাকলে সেই সকল প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক নিয়োগের ব্যবস্থাপনা করে থাকে।

তবে শ্রমিক আমদানি ও ব্যাবস্থাপনা করার জন্য শ্রমিক রপ্তানিকারক দেশের সরকার বা কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানকে  এই দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর এই নিয়ম সব দেশেই সমান ভাবে কার্যকর। সরকারি প্রতিষ্ঠান ব্যতিত অন্য কোন প্রতিষ্ঠান বা এজেন্সিকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয় নাই। আমাদের বাংলাদেশের জন্য এই দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানটির নাম " বোয়েসল " । বাংলাদেশের জন্য বোয়েসল ব্যতিত অন্য কেউ এই দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। যদি কেউ এই রকম কোন প্রতারণা করার চেষ্টা করে, আপনারা সেই প্রতারণায় পা দিবেন না, এবং  সঙ্গে সঙ্গেই  এই বিষয়টি পুলিশের কাছে জানাবেন।

২০০৭ সালে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার জন্য, কোরিয়া ও বাংলাদেশের সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি ( MOU- Memorandum of  Understanding ) স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশের শ্রমিক নিয়োগ অব্যহত রয়েছে।


Visa status, ভিসার ধরণঃ-

কোরিয়াতে অনেক ধরণের ভিসা আছে। আমাদের প্রয়োজন হয় মূলতঃ তিন ধরণের ভিসা।


                1)   E-9 Visa = ( শ্রমিক হিসেবে প্রবেশের ভিসা )


                2)    Student Visa = ( শিক্ষার্থীদের প্রবেশের ভিসা )


                3)    Tourist Visa = (ভ্রমণের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভিসা)


আমরা আজকে  E-9 Visa বা  ( শ্রমিক হিসেবে প্রবেশের ভিসা ) সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো। Student Visa ( শিক্ষার্থী হিসেবে প্রবেশের ভিসা ) বা Tourist Visa ( ভ্রমণের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভিসা ) সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে, বাংলাদেশে অবস্থিত কোরিয়ান এম্বাসিতে যোগাযোগ করতে হবে।


E-9 Visa বা  ( শ্রমিক হিসেবে প্রবেশের ভিসা )

এই ভিসা আবার  তিন ভাবে পাওয়া যায়। বাংলাদেশ সরকার কতৃক নির্ধারিত সংস্থা বোয়েসল এর ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত জেনারেল সিবিটি, এবং স্পেশাল সিবিটির পরিক্ষায় পাশের মাধ্যমে। আর Committed বা প্রতিশ্রতিবদ্ধ ভিসা। 


General CBT, জেনারেল সিবিটিঃ-

যারা প্রথম বারের মত কোরিয়াতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে যাওয়ার জন্য আবেদন করে। তাদেরকে জেনারেল সিবিটির পরিক্ষার্থী বলা হয়। এই জেনারেল সিবিটি পরিক্ষা বছরে ১ বার হয়ে থাকে। জেনারেল সিবিটির মাধ্যমে প্রথম বারের মত কোরিয়াতে গিয়ে সর্বমোট ৪ বছর ১০ মাসের ভিসা পাবেন। আর এই প্রথম বার কোরিয়াতে এসেই যদি ভিসা পরিবর্তন করতে চান, তাহলে আপনাকে সর্বপ্রথম 사회통합 프로그램의 (1-5) 단계 অর্থাৎ এই সাইথোংহাপ প্রোগ্রামের ১ থেকে ৫ লেভেল পর্যন্ত শেষ করতে হবে। আমরা যারা কোম্পানীতে কাজ করি, এবং এই কোর্সটি করি। আমাদের ক্লাস করাটা খুব কষ্টের হয়ে যায়। তারপরও নিদৃষ্ট ঘন্টার ক্লাস নির্ধারণ করা আছে। সবাইকে ওই কয়েক ঘন্টা ক্লাস অবশ্যই করতে হয়। পুরো সপ্তাহ জুরে পরিশ্রমের কাজ করে, ছুটির দিনে ক্লাস করাটা খুবই কষ্টকর। ক্লাসে ঘুম ধরবে, আর ক্লাসগুলো কোরিয়ান ভাষায় করানোর করণে, অনেকেই বুঝতেও পারে না। তাই আমি সেইসব দুর্বল বাঙ্গালী ছাত্রদের জন্য এই কোর্সটি বাংলা ভাাষায় তৈরী করে, আমার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড দিচ্ছি। এই কোর্সটি শুধু কোরিয়াতে থাকা ছাত্রদের জন্যই নয়, বরং বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত জেনারেল এবং স্পেশাল সিবিটির ছাত্রদের জন্য খুবই উপকারী। পুরো কোর্সটি একদম ফ্রীতে করতে চাইলে, এই পোস্টের একেবারে শেষে লিংক দেওয়া থাকবে। আপনারা শুধু লিংকে ক্লিক করে, মনোযোগ সহকারে ভিডিও গুলো দেখতে থাকবেন।


Special CBT, স্পেশাল সিবিটিঃ-

যেই সকল শ্রমিকেরা কোরিয়াতে প্রথববারের ৪ বছর ১০ মাসের ভিসা শেষ করে দেশে ফেরত আসে। এবং আবার কোরিয়াতে ৪ বছর ১০ মাস কাজ করার উদ্দেশ্যে কোরিয়ান ভাষার পরিক্ষা দেয়, তাদেরকে স্পেশাল সিবিটির পরিক্ষার্থী বলা হয়। স্পেশাল সিবিটির পরিক্ষার্থীদের আরোও কিছু সুযোগ-সুবিধা আছে। যেমন-

ক ) স্পেশাল সিবিটির পরিক্ষার্থীরা জেনারেল সিবিটির পরিক্ষাতেও অংশগ্রহন করতে পারবে। তবে, রোস্টার করার ক্ষেত্রে একটিতে রোস্টারভুক্ত হতে পারবে। আর পরিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে তাকে লটারীর মাধ্যমে ( লটারী সিস্টেম থাকা কালিন ) নাম উঠার পরেই পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। কিন্তু স্পেশাল সিবিটি পরিক্ষায় অংশগ্রহন করতে, তাদের লটারীর প্রয়োজন হয় না। কোরিয়া থেকে সঠিক ভাবে চলে আসলে, স্বয়ংক্রিয় ভাবে তাদের নাম পরিক্ষার্থীদের লিষ্টে চলে আসে।  

খ ) উক্ত শ্রমিকের বয়স ৪০ বছর হওয়ার আগে পর্যন্ত, প্রত্যেক বার স্পেশাল সিবিটি পরিক্ষার্থীদের লিস্টে তাদের নাম এমনিতেই চলে আসে। তারা বারবার পরিক্ষায় ফেল করলেও কোন সমস্যা নেই, পরবর্তি পরিক্ষায় আবার তাদের নাম স্বয়ংক্রিয় ভাবে চলে আসে।

গ ) স্বাভাবিক ভাবে স্পেশাল সিবিটির পরিক্ষায় পাশের মাধ্যমে কোরিয়ায় প্রবেশ করা। আর তাদের এই পরিক্ষা কোনো ধরণের দূর্যোগ বা অনাকাংক্ষিত খারাপ কোন পরিস্থিতির শিকার না হলে, বছরে সাধারণত ২ বার হয়ে থাকে। স্পেশাল সিবিটির পরিক্ষায় পাশের মাধ্যমে দ্বিতীয় বার কোরিয়াতে প্রবেশের পরে E-9 ভিসা থেকে E-7 ভিসায় উন্নত করে, স্ত্রী - সন্তানসহ বসবাস করতে পারে। E-9 ভিসা থেকে E-7 ভিসায় পরিবর্তন করতে হলে, অবশ্যই দ্বিতীয় বার কোরিয়াতে প্রবেশ করে তার পরেই আবেদন করার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে। প্রথম বার কোরিয়াতে প্রবেশ করে এই E-7 ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে না। প্রথম বার কোরিয়ায় গিয়ে F2-6, G1 এই ধরণের ভিসাতে পরিবর্তন করতে পারবেন।


Committed Visa, প্রতিশ্রতিবদ্ধ ভিসাঃ-

আগে এই Committed Visa বা প্রতিশ্রতিবদ্ধ ভিসা পাইতে হলে, একজন শ্রমিককে ৪ বছর ১০ মাস কিম্বা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই কোম্পানীতে কাজ করতে হতো। এছাড়া কোন শ্রমিকের প্রথম যোগদানের কোম্পানী কোন কারণে বন্ধ বা দেউলিয়া ঘোষণা করলে। অথবা কোম্পানীর নিজের সমস্যার কারনে শ্রমিককে রিলিজ দিবার পরে ওই শ্রমিকটি অন্য কোম্পানীতে গিয়ে ৪ বছর ১০ মাস বা দেশে ফেরৎ আসার আগে পর্যন্ত ওই কোম্পানীতে কাজ করলে, এই ভিসা পাইত। কিন্তু ২০২১ সালের শেষের দিকে করোনা মহামারি চলা কালে কোরিয়ার সরকার নতুন নিয়ম ঘোষণা করে। সেখানে বলা হয়, শ্রমিকদেরকে এই Committed Visa বা প্রতিশ্রতিবদ্ধ ভিসা পাইতে হলে, ৪ বছর ১০ মাস একই কোম্পানীতে কাজ করার দরকার নাই। শুধুমাত্র শেষের এক বছর একই কোম্পানীতে কাজ করলেই এই ভিসা পাওয়া যাবে ( যদি মালিক চায় ) ।


Student Visa, বা ( শিক্ষার্থী হিসেবে প্রবেশের ভিসা )

যেই সকল শিক্ষার্থীরা Student Visa, ( শিক্ষার্থী হিসেবে প্রবেশের ভিসা ) নিয়ে বিদেশে গিয়ে উচ্চতর শিক্ষা লাভ করতে চায়। সেই সকল শিক্ষার্থীর কোরিয়াতে Student Visa-য় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ। কারণ, কোরিয়ার শিক্ষার মান অনেক ভাল, এবং কোরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় গুলো পৃথিবীর শ্রেষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ভিতর অন্তর্ভুক্ত। নিরাপদ একটি দেশ, কোরিয়ার অধিকাংশ লোক নাস্তিক হলেও অন্য ধর্মের প্রতি তাদের শ্রদ্ধাবোধ প্রসংশোনীয়। 

তবে, যাদের নাম মাত্র শিক্ষার উদ্দেশ্যা থাকে, বাদবাকি টাকা ইনকাম করাটায় প্রধান লক্ষ। তাদের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার চিন্তা মাথায় থেকে ঝেড়ে ফেলা ভাল। কোরিয়াতে লেখাপড়া করতে আসা শিক্ষার্থীদের পার্ট-টাইম কিছু ঘন্টা কাজের অনুমতি থাকে। এই রকম কাজ করে নিজে চলাটাই কঠিন, বাড়িতে টাকা পাঠানোর প্রশ্নোই আসেনা। কোরিয়াতে কাজের অনুমতি আছে শুধুমাত্র এই রকম শ্রমিকদেরকে কোম্পানী কাজে লাগাতে পারবে। অনুমতি বিহীন বা অবৈধ শ্রমিক দিয়ে কাজ করালে, ওই কোম্পানীর জরিমানাসহ, ১ বছর বৈধ শ্রমিকও নিতে পারবে না এই রকম কঠিন সাজা ভোগ করতে হবে। কোরিয়াতে সকল ধরণের আইনি শাষণ ১০০ ভাগ স্বচ্ছতার সাথে প্রয়োগ করে থাকে। এখন আপনিই চিন্তা করে দেখুন, একজন স্টুডেন্ট ভিসাধারী শ্রমিক দিয়ে কাজ করালেও মালিকের বেতন দিতে হবে। আবার একজন বৈধ শ্রমিক দিয়ে কাজ করালেও বেতন দিতে হবে। তাহলে একজন কোম্পানীর মালিক স্টুডেন্ট ভিসাধারীকে কাজে নিবে, নাকি একজন বৈধ শ্রমিককে কাজে নিবে ?


Tourist Visa, (ভ্রমণের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভিসা)

ভ্রমণ ভিসায় কোরিয়াতে যাওয়াটা একটু কষ্টকর হলেও যদি যাওয়া সম্ভব হয় তাহলে সারা জিবনের সৃতি হবার মত অসংখ্য ভ্রমন স্পট আছে। অত্যান্ত নিরাপদ একটি দেশ, ট্যূরিস্টদের জন্য প্রত্যেক ভ্রমণ স্পটে বিশেষ ভাবে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা আছে। আমি প্রত্যেকটা ভ্রমণ স্পট সম্পর্কে বিস্তারিত গাইড লাইন দেবার চেস্টা করবো ইনশাআল্লাহ্। 

Student Visa, ( শিক্ষার্থী হিসেবে প্রবেশের ভিসা ) ও Tourist Visa, ( ভ্রমণের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভিসা ) সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে, এবং কিভাবে এই ভিসা গুলো পাবেন এই সকল বিষয় জানতে । বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত কোরিয়ান এম্বাসিতে সরাসরি যোগাযোগ করবেন। অথবা, নিচে দেওয়া  টেলিফোন নাম্বার ও ওয়েব এড্রেসে যোগাযোগ করবেন। 


Contact: (Office Time) +880-2-5881-2088-90

WebSite: https://overseas.mofa.go.kr/bd-en/index.do


사회통합 프로그램의 (1-5) 단계 সাইথোংহাপ প্রোগ্রামের ১ থেকে ৫ লেভেল পর্যন্ত ) কোর্সটি করতে এখানে ক্লিক করুন।


1 comment:

  1. মুখে দাড়ি থাকলে তারা কোরিয়া যেতে পারবে কি ?? নামায রোযা পালনের ক্ষেত্রে কোন প্রতিবন্ধকতা আছে কি একটু জানাবেন প্লিয।

    ReplyDelete